আমার জীবনে এত রোদের তাপমাত্রা দেখিনি৷ ঘরের ভিতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছেনা৷ রুমের ভিতরে ফ্যানের বাতাসেও কাজ করছেনা। আমি নিজে একজন কৃষক। কৃষির ওপর আমাদের এলাকার সবাই নির্ভর করে। এখন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে আমন লাগানো যাচ্ছেনা৷ তবুও যারা সেচ দিয়ে আমন রোপণ করেছেন তাদের মাটি ফেটে গেছে। আমন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা৷ আল্লাহ যাতে করে আমাদের বৃষ্টি দিয়ে উপকার করেন তার আশায় এসেছি। বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাত শেষে এভাবেই বলছিলেন যাদুরাণী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ৷
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাআত নামাজ ও মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা৷ সোমবার(১৮ জুলাই) সকাল ৭ টায় উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের যাদুরাণী বড়পুকুর পাড় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতিত্ব করেন শায়েখ এজাবুদ্দিন৷
আরেক মুসল্লি রায়হান বিন ইসা বলেন,এমন রোদে রুমের বাইরে বের হওয়া যায়না। আর রুমের ভিতরে থাকাও কঠিন। আমরা কৃষি দিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টির কারনে আমরা আমন রোপন করতে পারছিনা৷ আর এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পরছে। আজকে বৃষ্টির জন্য আমার নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।
নামাজের ইমামতি শেষ করে শায়েখ এজাবুদ্দিন বলেন,আমাদের জেলায় অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। বৃষ্টির কারনে আজকে আমরা দুই রাকাআত নামাজ আদায় করেছি ও মোনাজাত করেছি। তীব্র গরমে প্রতিটি পরিবারে অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে। আমরা বৃষ্টির অভাবে আমন রোপন করতে পারছিনা৷ সেজন্য বৃষ্টির জন্য নামাজ-মোনাজাগ করেছি। আজকে বৃষ্টি না হলে আমরা আগামীকাল ও পরশু দিন আবারো নামাজ আদায় করব ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।